সুজলা সুফলা বাংলাদেশ যার তিন দিক দিয়ে সবুজ শ্যামল আর খনিজ সম্পদে ভরপুর পাহাড়ী অঞ্চল ও বঙ্গোপসাগর বেষ্টিত। দেখলে মনেহয় প্রাকৃতিকভাবেই বাংলার প্রতিরক্ষা বিধাতার সুরক্ষায় সুরক্ষিত। এখানে মৌর্য (৩২২ খ্রিস্টপূর্বাব্দে চন্দ্রগুপ্ত মৌর্য নন্দ রাজবংশ উচ্ছেদ করে এই সাম্রাজ্য প্রতিষ্ঠা করেন) সময় থেকে মানব বসতির আলামত পাওয়া যায়। এখানে প্রাচীন যুগে বৌদ্ধ, হিন্দু, জৈনসহ নানা নৃ-গোষ্ঠী ও বিভিন্ন ধর্মাবলম্বীদের বসবাস ছিলো বলে ইতিহাস প্রমান করে। এ অঞ্চলে মৌর্য, শুঙ্গ, কুষাণ, গুপ্ত, পাল ও সেনরা প্রাচীন যুগের শাসন ও রাজক্ষমতায় ছিলেন বিভিন্ন মেয়াদে।

পাল ধর্মাবলম্বীদের শাসনামলে এ অঞ্চলে অসংখ্য বিহার গড়ে ওঠে, যেগুলো মানের নিরিক্ষে আধুনিক বিশ্ববিদ্যালয় মানের বলে মনে করা হয়। ঐ সময় উচ্চতর শিক্ষা ব্যবস্থা শুধু ব্রাহ্মণদের জন্য নির্দিষ্ট ছিলো। মধ্যযুগেই বাংলায় নগর বিন্যাস্ত হয়েছিলো সেটি ঐতিহাসিকভাবেই প্রমাণিত।

পাল ধর্মাবলম্বীদের শাসনামলে এ অঞ্চলে অসংখ্য বিহার গড়ে ওঠে, যেগুলো মানের নিরিক্ষে আধুনিক বিশ্ববিদ্যালয় মানের বলে মনে করা হয়। ঐ সময় উচ্চতর শিক্ষা ব্যবস্থা শুধু ব্রাহ্মণদের জন্য নির্দিষ্ট ছিলো। মধ্যযুগেই বাংলায় নগর বিন্যাস্ত হয়েছিলো সেটি ঐতিহাসিকভাবেই প্রমাণিত।
ত্রয়োদশ শতাব্দীতে হিন্দু ও বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের দীর্ঘকালিন এ অঞ্চলে অবস্থান ও তাদের তৈরি কাঠামোতে উপমহাদেশের রাজনৈতিক মঞ্চ মুসলমান শক্তির অভ্যুদয় প্রচলিত শিল্প, সমাজ ও সংস্কৃতির ক্ষেত্রে বাড়তি মাত্রা যোগ করে। এ সময় মুসলিম শাসকদের সহযোগিতায় তাঁদের ধর্মীয় ও সংস্কৃতির অনুসঙ্গী হয়ে সমাজ ও সংস্কৃতির ক্ষেত্রে একটি নতুন ধারারও বিকাশ ঘটে। তাঁরা অধিকাংশ ক্ষেত্রে অমুসলিমদের প্রতি সহনশীল মনোভব প্রকাশ করেন এবং প্রচলিত সংস্কৃতিকে পৃষ্ঠপোষকতা দান করেন।
এরই পথ ধরে মধ্যযুগে বাংলায় ব্যাপক রূপান্তর ঘটতে থাকে। এখানে ব্যবসা বাণিজ্যের মধ্য দিয়ে মুসলমানদের আগমন ঘটলেও পরবর্তীতে সূফীবাদী ও পীর-মুরিদী ধারা গড়ে ওঠা এবং ইখতিয়ার উদ্দিন মুহাম্মাদ বিন বখতিয়ার খলজির রাজনৈতিক ভাবে ক্ষমতায়নের মধ্য দিয়ে ধীরে ধীরে ইসলামের ব্যাপক বিস্তার ঘটে।
বঙ্গে অসাম্প্রদায়িক, মানবতাবাদী ও সুফীসাধক বলে যারা অগ্রগণ্য তাদের বাতিঘর হিসেবে সর্বমহলে সুপরিচিত ব্যাক্তিত্ব ছিলেন হযরত শাহসুফী মৌলভী খাজা নাছের আলী (রহঃ)। যিনি ১৮০০ শতাব্দীর মোজাদ্দেদ বৃটিশ শাসিত ভারতবর্ষের দায়ী ইলাল্লাহ হিসেবে সুপরিচিত বুজুর্গ হজরত শাহসুফী ফয়জুদ্দীন রহঃ আল-কাদরী ছাহেব (গাউছুল আযম বড় পীর আব্দুল কাদের জিলানী রহঃ এর বংশধর হযরত সৈয়দ বোগদাদ শাহ রহঃ এর একান্ত খলিফা ও সহচর ছিলেন) এর সুযোগ্য ছাহেবজাদা। হযরত শাহ সুফী মৌলভী খাজা নাছের আলী রহঃ ((১৮৮৫-১৯৮২) ছিলেন ১৯০০ শতাব্দীর মানবতাবাদ, অধ্যাত্মবাদ ও তাছাউফের ধারক ও বাহক।
তিনি তার জীবনে সদা সর্বদা শরীয়াতের তাবেদার ছিলেন। ইহ জাগতিক ধ্যান-ধারণা কখনো তাকে লালায়িত করতে পারেনি। মহান আল্লাহর প্রতি তার ছিলো আঘাত ও অটুট বিশ্বাস। তিনি সদা সর্বদা আল্লাহর ইচ্ছার প্রতি নিজেকে অটুট রাখতেন। রুজি বা আহারের ব্যাপারে তার বিশ্বাস যে তাকে যে আল্লাহ সৃষ্টি করেছেন সেই আল্লাহই তার আহারের ব্যবস্থা করবেন। তিনি তার জ্যেষ্ঠ পুত্রবধূকে সব সময় নছিহত করে বলতেন "মা" আল্লাহ আমাকে কম রুজি করাবে কিন্তু নিরুজি করাবেন না"।
এরই পথ ধরে মধ্যযুগে বাংলায় ব্যাপক রূপান্তর ঘটতে থাকে। এখানে ব্যবসা বাণিজ্যের মধ্য দিয়ে মুসলমানদের আগমন ঘটলেও পরবর্তীতে সূফীবাদী ও পীর-মুরিদী ধারা গড়ে ওঠা এবং ইখতিয়ার উদ্দিন মুহাম্মাদ বিন বখতিয়ার খলজির রাজনৈতিক ভাবে ক্ষমতায়নের মধ্য দিয়ে ধীরে ধীরে ইসলামের ব্যাপক বিস্তার ঘটে।
বঙ্গে অসাম্প্রদায়িক, মানবতাবাদী ও সুফীসাধক বলে যারা অগ্রগণ্য তাদের বাতিঘর হিসেবে সর্বমহলে সুপরিচিত ব্যাক্তিত্ব ছিলেন হযরত শাহসুফী মৌলভী খাজা নাছের আলী (রহঃ)। যিনি ১৮০০ শতাব্দীর মোজাদ্দেদ বৃটিশ শাসিত ভারতবর্ষের দায়ী ইলাল্লাহ হিসেবে সুপরিচিত বুজুর্গ হজরত শাহসুফী ফয়জুদ্দীন রহঃ আল-কাদরী ছাহেব (গাউছুল আযম বড় পীর আব্দুল কাদের জিলানী রহঃ এর বংশধর হযরত সৈয়দ বোগদাদ শাহ রহঃ এর একান্ত খলিফা ও সহচর ছিলেন) এর সুযোগ্য ছাহেবজাদা। হযরত শাহ সুফী মৌলভী খাজা নাছের আলী রহঃ ((১৮৮৫-১৯৮২) ছিলেন ১৯০০ শতাব্দীর মানবতাবাদ, অধ্যাত্মবাদ ও তাছাউফের ধারক ও বাহক।
তিনি তার জীবনে সদা সর্বদা শরীয়াতের তাবেদার ছিলেন। ইহ জাগতিক ধ্যান-ধারণা কখনো তাকে লালায়িত করতে পারেনি। মহান আল্লাহর প্রতি তার ছিলো আঘাত ও অটুট বিশ্বাস। তিনি সদা সর্বদা আল্লাহর ইচ্ছার প্রতি নিজেকে অটুট রাখতেন। রুজি বা আহারের ব্যাপারে তার বিশ্বাস যে তাকে যে আল্লাহ সৃষ্টি করেছেন সেই আল্লাহই তার আহারের ব্যবস্থা করবেন। তিনি তার জ্যেষ্ঠ পুত্রবধূকে সব সময় নছিহত করে বলতেন "মা" আল্লাহ আমাকে কম রুজি করাবে কিন্তু নিরুজি করাবেন না"।