ঐক্য হল সাফল্যের চাবিকাঠি এবং অনৈক্য হল ব্যর্থতা, গোলামী,পরাজয় ও দাসত্বের চাবিকাঠি। অতীত ইতিহাস ঘাটলে তার প্রমান পাওয়া যায় নির্দ্বিধায়। বর্তমানের মুসলমানরা ব্যর্থতার চাবিকাঠি যে শক্ত করে হাতে নিয়েছে তা হলক করিয়া বলতে পারি। তাই তারা সর্বাধিক প্রত্যাশিত ও কাঙ্ক্ষিত ফলাফল পাচ্ছে না।মুয়াজ্জিন নামাজের আজান দিচ্ছে ঈমানী দায়ীত্ব নিয়ে, মসজিদে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজে বিভিন্ন পদ,বর্ণ, গোত্র, দেশ ও ভাষার মানুষ একত্রিত হয়ে দাঁড়ায় সালাত আদায় করার উদ্দেশ্যে। সালাত আদায়কারীদের মধ্যে কোনো ভেদাভেদ পরিলক্ষিত হয়না। এমনকি রাষ্ট্রপ্রধান এবং একজন সাধারণ নাগরিককেও এক কাতারে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে দাঁড়াতে হবে এটাই ইসলামী বিধান।

ভাষাগত, জাতিগত ও গোত্রীয় পার্থক্য মসজিদের নামাজে কোনো বিভাজন সৃষ্টি করেনা এবং কোনো দিন করবেও না। পাঁচ ওয়াক্ত সালাত এভাবে একতা ও ভ্রাতৃত্ব চর্চার উপর একটি মহান প্রশিক্ষণ বটে। একইভাবে মুসলমানদেরও আমাদের রাজনৈতিক ও সামাজিক জীবনে একই মাত্রার ঐক্য ও ভ্রাতৃত্বের অনুশীলন করতে হবে একাগ্র চিত্বে।
রাজনীতি মানে রাষ্ট্র গঠন, সকল পেশার মানুষদেরকে ঐক্যবদ্ধ করার শিল্প, ইসলাম অনুযায়ী ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা, নীতি নৈতিকতা প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন এবং সকল মুসলিম ধর্মাবলম্ভীদের জীবন ও নিরাপত্তা রক্ষা করা। এখন কথা হচ্ছে পাঁচ ওয়াক্ত সালাত, রোজা, হজ, দান-খয়রাত ও অন্যান্য ইবাদতের পরিমাণ কোনোটাই ওই কাজটি করে না। তাই রাজনৈতিক ইবাদত অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে মহান আল্লাহ তার বিধান নাযিল করেছে।

মুসলিম বিশ্বের বিভাজন প্রকৃতপক্ষে মুসলমানদের ব্যর্থতা এবং ধর্ম গুরুদের আত্মঅহমিকার কারণেই সংঘটিত হয়েছে বা হচ্ছে। গভীর পরিতাপের বিষয় যে এই রাষ্টগুলোর মুসলিম নেতারা এবং জনগণ মুসলিম বিশ্বের এই বিভক্ত মানচিত্র তৈরির প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালন করছে ব্যাপক উৎসাহ ও উদ্দীপনার সাথে।

ভাষাগত, জাতিগত ও গোত্রীয় পার্থক্য মসজিদের নামাজে কোনো বিভাজন সৃষ্টি করেনা এবং কোনো দিন করবেও না। পাঁচ ওয়াক্ত সালাত এভাবে একতা ও ভ্রাতৃত্ব চর্চার উপর একটি মহান প্রশিক্ষণ বটে। একইভাবে মুসলমানদেরও আমাদের রাজনৈতিক ও সামাজিক জীবনে একই মাত্রার ঐক্য ও ভ্রাতৃত্বের অনুশীলন করতে হবে একাগ্র চিত্বে।
রাজনীতি মানে রাষ্ট্র গঠন, সকল পেশার মানুষদেরকে ঐক্যবদ্ধ করার শিল্প, ইসলাম অনুযায়ী ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা, নীতি নৈতিকতা প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন এবং সকল মুসলিম ধর্মাবলম্ভীদের জীবন ও নিরাপত্তা রক্ষা করা। এখন কথা হচ্ছে পাঁচ ওয়াক্ত সালাত, রোজা, হজ, দান-খয়রাত ও অন্যান্য ইবাদতের পরিমাণ কোনোটাই ওই কাজটি করে না। তাই রাজনৈতিক ইবাদত অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে মহান আল্লাহ তার বিধান নাযিল করেছে।
এটি মুসলমানদের জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় ও নির্ভরযোগ্য ইবাদাত হিসেবে পরিগণিত। মুসলমান হিসেবে যদি ঐক্যবদ্ধভাবে রাজনৈতিক ইবাদাতে সবাই ব্যর্থ হয়, তাহলে তারা কেবল শত্রুদের দ্বারা পরাজয় এবং দাসত্বের মুখোমুখি হয়-যেমনটি তারা এখন মুখোমুখি হচ্ছে বলে বিজ্ঞমহলের ধারণা। প্রকৃতপক্ষে, বর্তমান সময়ে আমরা লক্ষ্য করলে দেখবো মুসলমানরা রাজনৈতিক ইবাদাতে চরমভাবে ব্যর্থ হচ্ছে।
আমরা একটু গভীর ভাবে লক্ষ্য করলে দেখবো ৩৫০ মিলিয়ন আরবরা আজ ২২টি ভিন্ন ভিন্ন রাজ্যে বিভক্ত একই ধর্ম, একই ভাষা এবং একই জাতীয় চেতনা বোধ থাকা সত্ত্বেও। আরবদের কেউ কেউ হয়তোবা মনে করেন তারা আজ সারা পৃথিবীর মধ্যে ২২টি আরব রাষ্ট্র তৈরি করতে সক্ষম হয়েছে কিন্তু তারা একবারও এ কথা ভেবে দেখেনা যে এই গোটা আরবই ওসমানীয় শাসন আমলে একটি মাত্র দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত ছিলো।

ইসলামের শত্রুরা যেকোনো বড় মুসলিম দেশকে ছিন্নভিন্ন করার জন্য যেকোনো যুদ্ধ করতে সবসময় প্রস্তুত থাকে তাদের সবকিছু দিয়ে। মুসলমানদের দুর্বল, ঐক্যহীন ও প্রতিরক্ষাহীন রাখাই শত্রুদের প্রধান এজেন্ডা বা কৌশল। এ কারণেই উসমানিয় খেলাফাত ছিল অমুসলিমদের প্রধান টার্গেট। তাই এই কৃত্রিম আরব রাষ্ট্রগুলো তৈরি করতে আরব রাষ্ট্রগুলোর নেতাদের কোনো যুদ্ধ করার দরকার ছিল না। প্রয়োজনীয় যুদ্ধ গুলো অমুসলিমদের দ্বারা সংঘটিত হয়েছিল ইতিহাস তার জ্বলন্ত স্বাক্ষি। ইতিহাস ঘাটাঘাটি করলে দেখা যায় যে ১ মিলিয়নেরও বেশি আরব সেই সময় ব্রিটিশ সেনাবাহিনীর সাথে উসমানিয় শাসনের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেছিল সশস্র ভাবে।
মুসলিম বিশ্বের বিভাজন প্রকৃতপক্ষে মুসলমানদের ব্যর্থতা এবং ধর্ম গুরুদের আত্মঅহমিকার কারণেই সংঘটিত হয়েছে বা হচ্ছে। গভীর পরিতাপের বিষয় যে এই রাষ্টগুলোর মুসলিম নেতারা এবং জনগণ মুসলিম বিশ্বের এই বিভক্ত মানচিত্র তৈরির প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালন করছে ব্যাপক উৎসাহ ও উদ্দীপনার সাথে।
এই ধরনের বিভাজনের কারণে বর্তমানে গাজা এবং অন্যান্য মুসলিম ভূখন্ডে মুসলমানরা নিছক মৃত্যু ও ধ্বংসের পাহারা দার মাত্র। সারা দুনিয়া থেকে আজ গাজা ভূখণ্ডের জন্য সবাই শুধু দোয়ার পরামর্শ দেয়, প্রত্যেক জুমার নামাজ বাদে কোটি কোটি মুসলমানরা গাজার জন্য দোয়া করে কিন্তু গভীর ভাবে খোঁজ নিলে দেখা যাবে এই ষড়যন্ত্রের পেছনে কোনো না কোনো মুসলিম দেশের জড়িত থাকার বিষয়টি বেরিয়ে আসবে।