শিক্ষা ও সামাজিক শিক্ষায় খাজা নাছের আলী রহঃ এর ভূমিকা

WHO এর দৃষ্টিতে উপমহাদেশের অন্যতম পাবলিক হেলথ ইনস্টিটিউট “ব্র্যাক জেমস পি. গ্র্যান্ট স্কুল অফ পাবলিক হেলথ, ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি” তে দীর্ঘ দিন শিক্ষা ও গবেষণা কার্যক্রমের সাথে সরা সরি যুক্ত থাকার কারণে শিক্ষা ও সামাজিক শিক্ষার বিষয়ে কিছু জ্ঞান ভেতরে আত্মস্থ করার বা উপলব্ধি করার চেষ্টা করেছি। আসলে শিক্ষা নিয়ে আমাদের সমাজে একটা ভুল ধারনা সব সময়ই প্রচলিত ছিলো ও আছে।অনেকে মনে করে স্কুল, কলেজ, ইউনিভার্সিটি থেকে লেখা পড়া করেছি, দেশী-বিদেশী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে উচ্চ শিক্ষা গ্রহণ করেছি।আমার এত এত ডিগ্রী রয়েছে,জাতীয় ও আন্তর্জাতি সংস্থায় সুনামের সাথে কাজ করছি,আমি আনেক বড় প্রতিষ্ঠানের মালিক বা বড় কর্মকর্তা, তাই আমি অনেক শিক্ষিত।
সামাজিক শিক্ষায় খাজা নাছের আলী
আমি বিভিন্ন সময় বিভিন্ন শ্রেণির মানুষের মতামত নেয়ার চেষ্টা করেছি আসল শিক্ষা কাকে বলে এ বিষয়ের উপর। আনেকেই মনে করেন আসলে স্কুল, কলেজ,বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা নিয়েও আমরা আনেকেই জীবনে প্রকৃত শিক্ষা লাভ করতে পারছিনা। স্কুল, কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তথ্যপুর্ন বা বুকিস্ট শিক্ষা লাভ করি বটে কিন্তু প্রকৃত শিক্ষার আনেকটাই বাকি থেকে যায়। শিক্ষায় তথ্যাবলি,ঘটনাবলি,ইতিহাস,ঐতিহ্য জানা আসলেই দরকার, কিন্তু তাতেই কি প্রকৃত শিক্ষা সম্পাদিত হয়? আমাদের শিক্ষার প্রকৃত অর্থ অনুধাবন করা দরকার। 

খাজা নাছের আলী রহঃ ১৮০০ শতাব্দীর শেষ দিকের একজন শিক্ষানুরাগী ও নবাব পরিবারের খ্যাতিমান আধ্যাত্বিক সাধক। তিনি নৈতিক ও মানবিক শিক্ষার প্রচার-প্রসারে ব্যাপক ভূমিকা রেখেছিলেন ১৯০০ শতাব্দীর শুরু থেকে। প্রকৃতপক্ষে শিক্ষা হল দুই ধরনের ১) বুদ্ধিগত শিক্ষা যা মস্তিষ্ককে উরবর করে।২) মুল্যবোধ নির্ভর শিক্ষা যা হৃদয় বৃত্তিকে সমৃদ্ধ,বিবেক বোধকে ও মানবতা বোধকে জাগ্রত করত: স্রস্টার সৃস্টির প্রতি দয়াশীল হয়ে সদা সর্বদা সত্য ও কল্যানের পথে চলতে সহায়তা করে। 

খাজা নাছের আলী রহঃ আমৃত্যু কাজ করে গেছেন মুল্যবোধ নির্ভর শিক্ষা নিয়ে যা হৃদয় বৃত্তিকে সমৃদ্ধ,বিবেক বোধকে জাগ্রত করে। তিনি সব সময় সমাজে নৈতিকতার বীজ অংকুরিত করতেন এই বলে যে প্রত্যেক মানুষের মাঝে একটা স্রষ্টাবৃত্তি থাকে তাকে নৈতিক ও মূল্যবোধ দিয়ে জাগাতে হয়। সামাজিক দ্বিধা বিভক্তি নয়, সামাজিক ঐক্য দিয়ে সমাজকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হয়।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন (0)
নবীনতর পূর্বতন